শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : বৈচিত্র্য রক্ষায় পৃথিবী থেকে বিভিন্ন ভাষার হারিয়ে যাওয়া ঠেকানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “যে কোনো একটি জাতির জন্য ভাষাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মায়ের ভাষায় শিক্ষা নিতে পারা এবং মায়ের ভাষায় কথা বলতে গেলে সহজে আমরা শিখতে পারি।
“কিন্তু দুর্ভাগ্য যে ধীরে ধীরে অনেক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। তারপরও সারাবিশ্বব্যাপী ভাষার যেই বৈচিত্র্য রয়েছে, তা সংরক্ষণ, তার চর্চা এবং বিকাশ একান্তভাবে প্রয়োজন।”
রোববার ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারি যখন আমরা আমাদের ভাষা দিবস হিসেবে ব্যবহার করছি, শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে যাচ্ছি এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমরা সেই সাথে সাথে সারাবিশ্বের সকল ভাষাপ্রেমীদের প্রতিও আমি শ্রদ্ধা জানাই।”
মাতৃভাষায় শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই অন্য ভাষা শিখতে হবে, সেই সাথে সাথে মাতৃভাষাও আমাদেরকে শিখতে হবে।”
বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ভাষাও যেন সংরক্ষণ করা যায় এবং তারা যেন সেই ভাষায় শিক্ষা নিতে পারে, সেজন্য সরকারের প্রচেষ্টার কথাও জানান শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ মাতৃভাষা সংরক্ষণ,পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদান রাখায় তিন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ পান।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক ২০২১’ বিশিষ্ট নাগরিক ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামের পথ বেয়ে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “যার নেতৃত্বে এই ভাষা আন্দোলনের শুরু, আর ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।
“ভাষা আন্দোলন থেকেই তিনি বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। এবং তারই নেতত্বে আমরা বিজয় অর্জন করি, স্বাধীন রাষ্ট্র পাই, স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাই।”
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার স্বশরীরে শহীদ মিনার যেতে না পারায় আক্ষেপও প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।